কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও সহিংসতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলের উপর হামলা ও পুলিশি দমনপীড়নে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এখানে কোটা আন্দোলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো:
- American International University-Bangladesh (AIUB):
- তিনজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।
- Independent University, Bangladesh (IUB):
- পাঁচজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।
- Islamic University of Technology (IUT):
- একজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।
- Northern University Bangladesh:
- তিনজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।
- East West University:
- একজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।
- Dhaka Residential Model College (DRMC):
- একজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।
- BRAC University:
- একজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।
- Madaripur Govt. College:
- একজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।
- মানিকগঞ্জ:
- তিনজন শহীদ হয়েছেন।
- মাদারীপুর:
- চারজন শহীদ হয়েছেন।
- সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া:
- দুইজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।
এই সব মৃত্যুর ঘটনা কেবল দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি শাসকগোষ্ঠীর অবহেলার দৃষ্টান্তই নয়, বরং একটি দেশের জন্য চরম দুর্ভাগ্যের বিষয়। শিক্ষার্থীদের এই জীবন উৎসর্গের মধ্যে দিয়ে তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হচ্ছে।
সহিংসতা ও সংঘর্ষ
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচিতে প্রায়ই পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, সরকার দলীয় সমর্থকরা হামলা চালিয়ে আন্দোলনকারীদের দমন করার চেষ্টা করছে।
আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছে। তাদের দাবি, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে হবে এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। বর্তমান কোটা ব্যবস্থায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য নির্ধারিত কোটা থাকা, যা সমালোচকদের মতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষপাতিত্বমূলক এবং বঞ্চনার কারণ।
আন্দোলনের ভবিষ্যৎ
এই সহিংসতা এবং দমনপীড়ন সত্ত্বেও, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন থামেনি। বরং এই ঘটনাগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও বেশি প্রতিরোধের স্পৃহা জাগ্রত করেছে। জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের এই সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগের ইতিহাস হয়তো একদিন দেশের শিক্ষা ও সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
Leave a Reply